মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীতে চলন্ত লঞ্চ থেকে ছেলের ওপর অভিমান করে নদীতে লাফ দেন মা। মাকে বাঁচাতে ছেলেও নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর মা সাঁতরে কিনারায় উঠে এলেও সাঁতার না জানা ছেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া লঞ্চঘাটের অদূরে চর-কিশোরগঞ্জ নামক এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ যুবকের নাম মোহাম্মদ নাঈম (২১)। তার মা জামেরুন বেগম (৪০)। তারা দুজন শরীয়তপুর জেলার সখিপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের স্ত্রী ও ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা বলছে, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শরীয়তপুর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ এম. ভি বায়েজিদ জোনায়েদ-১ থেকে আকস্মিক ঝাঁপ দেন ওই নারী। এ সময় তাকে বাঁচাতে তার ছেলেও নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়া নারী নিজে সাঁতরে তীরে উঠে আসেন। কিন্তু তার ছেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
গজারিয়ায় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক রিয়াজুর জান্নাত জানান, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া লঞ্চঘাটের অদূরে মেঘনা নদীতে মাকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারে কাজ করেছে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়ে নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার আবার উদ্ধারকাজ শুরু হবে।
গজারিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর ইনচার্জ (আইসি) ইজাজ আহম্মেদ বলেন, একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মা-ছেলে লঞ্চে করে ঢাকা ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তুচ্ছ বিষয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। একপর্যায়ে মা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লে মাকে বাঁচাতে ছেলেটিও নদীতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু, সে সাঁতার না জানায় তীরে উঠতে পারেনি। আজ সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। আবার উদ্ধারকাজ চলবে।